পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে
পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস এবং পরিসরঃ
পদার্থবিজ্ঞান শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ফুঁসিস(Fusis) থেকে । যার অর্থ “প্রকৃতি সম্পর্কিত জ্ঞান” । পদার্থবিজ্ঞানের সূচনা ঘটে বিজ্ঞানী নিউটনের হাতে । যাকে বলা হয়, নিউটনের চিরায়ত
পদার্থবিজ্ঞান বা নিউটনিয়ান পদার্থবিজ্ঞান । আলবার্ট আইনস্টাইন এর হাতে নিউটনের চিরায়ত
পদার্থবিজ্ঞান বা নিউটনিয়ান বলবিদ্যা থেকে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান বা আপেক্ষিক
পদার্থবিজ্ঞানের সূচনা ঘটে । সেরূপ কালিক দৃষ্টিকোণ
থেকে পদার্থবিজ্ঞান এই দুই প্রকারই । শুধুমাত্র পদার্থবিজ্ঞানের বদৌলতেই এ পর্যন্ত
বিজ্ঞানে জানা মৌলিক কণার আকার 10-30 m থেকে 1030 m
পর্যন্ত ।
পদার্থবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়ঃ
জগতের সব উপাদানকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয় ।
যথাঃ ১। ভৌত জগত বা জড় জগত ।
২। জীব জগত ।
এদের মধ্যে পদার্থবিজ্ঞান শুধু ভৌত অংশটুকু নিয়ে আলোচনা করে
।
এই ভৌত জগতকে চারটি উপাদানের সমন্বয় বলে জানা যায় ।
যথাঃ ১। স্থান ।
২। কাল বা সময় ।
৩। ভর ।
৪। শক্তি ।
যে কোন ক্ষেত্রে আমরা নির্দিষ্ট একটি স্থানে সিস্টেমকে রেখে
নির্দিষ্ট সময় ব্যাপিয়া চলরাশি পরিমাপ বা সমস্যার সমাধান করে থাকি বলে এদের মধ্যে
স্থান ও কাল এই দুইটি উপাদানকে তাত্ত্বিক বলা চলে । তাই আপাতভাবে ভৌত জগতকে ভর ও
শক্তির সমন্বয় বলা যায় । আবার আলবার্ট আইনস্টাইনের
সূত্রে ভর ও শক্তি একই সূত্রে গাথা । তাই বলা যায় মহাবিশ্বের
সবই শক্তি অথবা ভরের সমন্বয় । কখনও শক্তি, কখনও বা ভর । এই ভর ও শক্তির রূপান্তরের
কাজটি করে থাকে পদার্থবিজ্ঞান । তাহলে পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক উদ্দেশ্য যেহেতু
আমাদের জানা, তাই আমরা পদার্থবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দিতে পারি এভাবে, বিজ্ঞানের যে
শাখায় বস্তু ও শক্তির রুপান্তর নিয়ে আলোচনা করা হয় তাই পদার্থবিজ্ঞান ।
পদার্থবিজ্ঞানের লক্ষ্যঃ
পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ ও বিশ্লেষণের আলোকে বস্তুর ভর ও শক্তির
রুপান্তর, তাদের মধ্যকার সম্পর্ক উদঘাটন এবং পরিমাণগতভাবে তা প্রকাশ করাই
পদার্থবিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য ।
পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন
শাখাঃ
বাস্তব জীবনের প্রতিটি ঘটনাকে যৌক্তিক আলোচনার মাধ্যমে
সুষ্ঠু ব্যাখ্যা এবং সমস্যার সমাধান সহ নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে বিশ্বগ্রাম
রচনা করেছে পদার্থবিজ্ঞান । পঠন পাঠনের সুবিধার জন্য এই সুবিশাল পদার্থবিজ্ঞানকে অনেকগুলো
শাখায় বিভক্ত করা হয়েছে । এগুলোঃ
১। সাধারণ পদার্থবিজ্ঞান ।
২। তাপ বা তাপগতিবিজ্ঞান ।
৩। শব্দবিজ্ঞান ।
৪। আলোকবিজ্ঞান ।
৫। তড়িৎচুম্বক বা চুম্বকবিজ্ঞান ।
৬। তড়িৎ বিজ্ঞান ।
৭। ইলেকট্রনিক্স ।
৮। পারমানবিক বিজ্ঞান ।
৯। বল বিজ্ঞান ।
১০। কঠিন অবস্থার পদার্থবিজ্ঞান ।
১১। কোয়ান্টাম মেকানিক্স ।
১২। নিউক্লিয়ার পদার্থবিজ্ঞান ।
১৩। জ্যোতির্বিজ্ঞান ।
১৪। ক্রায়োজেনিক্স ।
Written by
Jeion Ahmed
EEE CUET
0 মন্তব্যসমূহ