মাধ্যমিকে জেনে আসা কিছু বিষয় আর একবার
পুনরাবৃত্তি করতে চাই । তোমরা জেনে এসেছো-
v কোন বস্তুর উপর বল প্রয়োগে যদি বস্তুটির সরণ হয় তবে বল
প্রয়োগকারী কতৃক কৃত কাজ হবে ।
v
m ভরের বস্তুকে ভূপৃষ্ঠ হতে h উচ্চতায় উঠানো হলে কৃত কাজ বা তার ভিতর সঞ্চিত বিভবশক্তি হবে ।
v বস্তুত শক্তি এবং কাজ একই জাতীয় রাশি । বস্তু শক্তি প্রয়োগ
করে মানে কাজ করে । তাই কাজ এবং শক্তি রাশি দুইটিকে আলাদা ভাবে চিন্তা করার
প্রয়োজন নেই । উদাহরণ
সরূপ একটি বস্তুকে নির্দিষ্ট পরিমাণ গতিশক্তিতে নিয়ে আসতে গেলে তার উপর যে কাজ
করতে হয় তাই এর অভ্যন্তরে গতিশক্তি আকারে জমা হয় ।
v একটি যন্ত্রে যে পরিমাণ ক্ষমতা দেয়া থাকে বা তার উপর যত
ক্ষমতা লেখা থাকে, যন্ত্রটি বাস্তবিক ভাবে ততটা ক্ষমতা সম্পন্ন হয়না । কিছুটা কম
হয় । কারণ এক্ষেত্রে ঘর্ষণ সহ অনন্য কারণে কিছু অপচয় অবশ্যই আছে । তাই এর কর্মদক্ষতা হিসাব করতে হয় ।
এ অধ্যায়ের
আলোচনায় নতুনত্যের পরিমাণ খুবই সামান্য । এখানে মূলত উপরে উল্লেখিত বিষয়বস্তু গুলো
নিয়েই ব্যাবহারিক জীবনের সমন্নয় ঘটানো হয়েছে । তাই আমরা পরবর্তী আলোচনা টপিক
ভিত্তিক ভাবে কিছু প্রয়োগ নিয়েই করব ।
ভেক্টর অধ্যায়ে আমরা
জেনেছি কেন বল ও সরণ উভয়ই ভেক্টর রাশি হওয়া সত্ত্বেও কাজ একটি স্কেলার রাশি । কাজ
স্কেলার রাশি কারণ- কাজ হল বল এবং সরণের ডট গুণের ফলাফল । আর দুইটি ভেক্টরের ডট
গুণের ফলাফল একটি স্কেলার রাশি হয় ।
0 মন্তব্যসমূহ