অবশ্যই জানতে হবে-
-
তরঙ্গ ।
-
তরঙ্গ সংশ্লিষ্ট রাশি ।
-
কয়েকটি সম্পর্ক ।
-
শব্দ তরঙ্গ ।
-
প্রতিধ্বনি ।
-
প্রতিধ্বনির ব্যবহার ।
-
শব্দের বেগের পরিবর্তন ।
-
শ্রাব্যতার সীমা ও এদের
ব্যবহার ।
-
সুরযুক্ত শব্দ ও তার
বৈশিষ্ট্য ।
-
শব্দ দূষণ ।
Ø যান্ত্রিক
তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্য স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের প্রয়োজন ।
Ø তড়িৎ
চৌম্বকীয় তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্য কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না ।
Ø প্রতিধ্বনি
শোনার জন্য প্রতিফলককে শ্রোতা থেকে কমপক্ষে বা 16.6m দূরত্বে
রাখতে হবে ।
Ø সমুদ্রের
গভীরতা নির্ণয়ের জন্য SONAR নামক
যন্ত্র ব্যবহৃত হয় ।
Ø SONAR
এর পূরো নাম Sound Navigation And
Ranging. এই যন্ত্রে শব্দোত্তর কম্পাঙ্কের শব্দ প্রেরণ ও গ্রহণের
ব্যবস্থা আছে ।
গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞাঃ
তরঙ্গঃ যে
পর্যাবৃত্ত আন্দোলন কোনো জড় মাধ্যমের একস্থান থেকে অন্যস্থানে শক্তি সঞ্চালিত করে
কিন্তু মাধ্যমের কণাগুলোকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করে না তাকে তরঙ্গ বলে ।
স্পন্দন গতিঃ পর্যাবৃত্ত
গতিসম্পন্ন কোনো কণা যদি তার পর্যায় কালের অর্ধেক সময় যে দিকে চলে, বাকী
অর্ধেক সময় তার বিপরীত দিকে চলে তবে সেই গতিকে স্পন্দন গতি বলে ।
[সরল দোলকের গতি, সুরশলাকার
কম্পনের গতি স্পন্দন গতি ।]
যান্ত্রিক তরঙ্গঃ কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় মাধ্যমে যে তরঙ্গের উদ্ভব হয় তা যান্ত্রিক তরঙ্গ ।
যান্ত্রিক তরঙ্গঃ কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় মাধ্যমে যে তরঙ্গের উদ্ভব হয় তা যান্ত্রিক তরঙ্গ ।
[পানির তরঙ্গ,শব্দ
তরঙ্গ প্রভৃতি যান্ত্রিক তরঙ্গ ।]
অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গঃ যে
তরঙ্গ কম্পনের দিকের সাথে সমান্তরালভাবে অগ্রসর হয় তাকে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ বলে । [বায়ু
মাধ্যমে শব্দের তরঙ্গ অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের উদাহরণ ।]
অনুপ্রস্থ তরঙ্গঃ যে
তরঙ্গ কম্পনের দিকের সাথে লম্বভাবে অগ্রসর হয় তাকে অনুপ্রস্থ তরঙ্গ বলে ।
[অনুপ্রস্থ তরঙ্গের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বিন্দুকে তরঙ্গশীর্ষ ও তরঙ্গপাদ বলে । অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গে অনুরূপ রাশি হচ্ছে সঙ্কোচন ও প্রসারণ ।]
[অনুপ্রস্থ তরঙ্গের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বিন্দুকে তরঙ্গশীর্ষ ও তরঙ্গপাদ বলে । অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গে অনুরূপ রাশি হচ্ছে সঙ্কোচন ও প্রসারণ ।]
পূর্ণ স্পন্দনঃ তরঙ্গের উপরস্থ কোনো
কণা একটি নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে যাত্রা শুরু করে আবার একই দিক থেকে সেই বিন্দুতে
ফিরে এলে তাকে একটি পূর্ণ স্পন্দন বলা হয় ।
পর্যায়কালঃ যে সময় পর পর তরঙ্গের পুনরাবৃত্তি ঘটে । অর্থাৎ যে সময়ে তরঙ্গের উপরস্থ কোন কণার একটি পূর্ণ স্পন্দন সম্পন্ন হয় তাকে পর্যায়কাল বলে ।
পর্যায়কালঃ যে সময় পর পর তরঙ্গের পুনরাবৃত্তি ঘটে । অর্থাৎ যে সময়ে তরঙ্গের উপরস্থ কোন কণার একটি পূর্ণ স্পন্দন সম্পন্ন হয় তাকে পর্যায়কাল বলে ।
কম্পাঙ্কঃ
প্রতি সেকেন্ডে যতগুলো পূর্ণ তরঙ্গ সৃষ্টি হয় তাকে তরঙ্গের কম্পাঙ্ক বলে ।
[তরঙ্গ সৃষ্টি হয় কম্পনশীল বস্তু
থেকে । তাই কম্পনশীল বস্তুর কম্পাঙ্ক
তরঙ্গের কম্পাঙ্কের সমান । কম্পাঙ্কের
একক হার্জ (Hz) ।]
1Hz: স্পন্দনশীল
কোনো বস্তুকণা এক সেকেন্ডে একটি পূর্ণ স্পন্দন সম্পন্ন করলে তার কম্পাঙ্ককে 1Hz বলে ।
বিস্তারঃ সাম্যাবস্থান
থেকে যে কোনো একদিকে তরঙ্গস্থিত কোন কণার সর্বাধিক সরণকে বিস্তার বলে ।
দশাঃ কোনো একটি তরঙ্গায়িত কণার যে কোনো মুহুর্তের গতির সামগ্রিক অবস্থা প্রকাশক রাশিকে তার দশা বলে ।
দশাঃ কোনো একটি তরঙ্গায়িত কণার যে কোনো মুহুর্তের গতির সামগ্রিক অবস্থা প্রকাশক রাশিকে তার দশা বলে ।
[গতির সামগ্রিক অবস্থা বলতে কণার গতির
দিক, সরণ, বেগ,ত্বরণ
ইত্যাদি বুঝায় । অনুপ্রস্থ তরঙ্গের উর্ধ্বচূড়াসমূহ
বা নিম্নচূড়াসমূহ সর্বদা একই দশায় থাকে ।]
তরঙ্গ দৈর্ঘ্যঃ তরঙ্গের উপর একই দশায়
আছে এমন পর পর দু’টি কণার মধ্যবর্তী দূরত্বকে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলে ।
অথবা কম্পমান বস্তুর একটি পূর্ণ কম্পনে যে সময় লাগে সেই সময়ে তরঙ্গ যেটুকু
দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলে ।
অথবা 1টি পূর্ণ স্পন্দনের সময়ে তরঙ্গের
অতিক্রান্ত দূরত্বকে তরঙ্গদৈর্ঘ্য বলে ।
তরঙ্গ বেগঃ নির্দিষ্ট দিকে তরঙ্গ এক সেকেন্ডে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গ বেগ বলে ।
তরঙ্গ বেগঃ নির্দিষ্ট দিকে তরঙ্গ এক সেকেন্ডে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গ বেগ বলে ।
প্রতিধ্বনিঃ যখন
কোনো শব্দ মূল শব্দ থেকে আলাদা হয়ে মূল শব্দের পুনরাবৃত্তি করে, তখন
ঐ প্রতিফলিত শব্দকে প্রতিধ্বনি বলে । সহজ
কথায় প্রতিফলনের জন্য ধ্বনির পুনরাবৃত্তিকে প্রতিধ্বনি বলে ।
শ্রাব্যতার পাল্লাঃ
আমাদের কানে যে শব্দ শোনা যায় তার কম্পাঙ্কের সীমা হলো 20Hz
থেকে 20,000z । কম্পাঙ্কের
এই পাল্লাকে শ্রাব্যতার পাল্লা (Audible Range)বলে ।
শব্দেতরঃ যদি
কম্পাঙ্ক 20Hz এর কম হয় তবে তাকে
শব্দেতর (Infrasonic)কম্পন বলে ।
শব্দোত্তরঃ যদি কম্পাঙ্ক 20,000Hz এর বেশি হয় তবে তাকে শব্দোত্তর (Ultrasonic) কম্পন বলে ।
আল্ট্রাসনোগ্রফিঃ মানুষের দেহের অভ্যন্তরীণ ছবি এক্স-রে দ্বারা যেমন তোলা যায় তেমন শব্দোত্তর কম্পনের শব্দের সাহায্যে ছবি তুলে রোগ নির্ণয় করা যায় ।
আল্ট্রাসনোগ্রফিঃ মানুষের দেহের অভ্যন্তরীণ ছবি এক্স-রে দ্বারা যেমন তোলা যায় তেমন শব্দোত্তর কম্পনের শব্দের সাহায্যে ছবি তুলে রোগ নির্ণয় করা যায় ।
তরঙ্গের বৈশিষ্ট্যঃ
১. মাধ্যমের কণাগুলোর স্পন্দন গতির
ফলে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় কিন্তু কণাগুলোর স্থায়ী স্থানান্তর হয় না ।
২. যান্ত্রিক তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যম প্রয়োজন ।
৩. তরঙ্গ একস্থান থেকে অন্যস্থানে শক্তি সঞ্চালন করে ।
৪. তরঙ্গের বেগ মাধ্যমের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে ।
৫. তরঙ্গের প্রতিফলন ও প্রতিসরণ ও উপরিপাতন ঘটে ।
২. যান্ত্রিক তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যম প্রয়োজন ।
৩. তরঙ্গ একস্থান থেকে অন্যস্থানে শক্তি সঞ্চালন করে ।
৪. তরঙ্গের বেগ মাধ্যমের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে ।
৫. তরঙ্গের প্রতিফলন ও প্রতিসরণ ও উপরিপাতন ঘটে ।
তরঙ্গের প্রকারভেদঃ
তরঙ্গ দুই প্রকার ।
যথাঃ ১। অনুপ্রস্থ
তরঙ্গ ।
২।
অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ ।
কোনো বস্তুর কম্পনের ফলে শব্দ তরঙ্গ
সৃষ্টি হয় এবং সঞ্চালনের জন্য স্থিতিস্থাপক জড় মাধ্যমের প্রয়োজন হয় । তাই
শব্দকে একটি যান্ত্রিক তরঙ্গ বলা হয় । এই
তরঙ্গের প্রবাহের দিক এবং কম্পনের দিক একই বলে এটি একটি অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ । শব্দ
তরঙ্গের বেগ মাধ্যমের প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল । বায়বীয়
মাধ্যমে এর বেগ কম, তরলে তার চেয়ে বেশি, কঠিন
পদার্থে আরো বেশি । শব্দের তীব্রতা তরঙ্গের বিস্তারের
বর্গের সমানুপাতিক । শব্দ
তরঙ্গের প্রতিফলন, প্রতিসরণ ও উপরিপাতন
সম্ভব । শব্দের বেগ মাধ্যমের
তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার উপরও নির্ভরশীল ।
প্রতিধনির ব্যবহারঃ
-কূপের গভীরতা নির্ণয় ।
- কুপের পানিপৃষ্ঠের গভীরতা ১৬.৬ কম হলে, প্রতিধ্বনি ভিত্তিক এই পরীক্ষাটি করা সম্ভব হবে না ।ভূ—- - ভূগর্ভের খনিজ পদার্থের সন্ধান ।
- কুপের পানিপৃষ্ঠের গভীরতা ১৬.৬ কম হলে, প্রতিধ্বনি ভিত্তিক এই পরীক্ষাটি করা সম্ভব হবে না ।ভূ—- - ভূগর্ভের খনিজ পদার্থের সন্ধান ।
শব্দের বেগ যেসব বিষয়ের উপর নির্ভর করেঃ
- মাধ্যমের প্রকৃতিঃ বায়ুতে শব্দের
বেগ কম, তরলে তার চেয়ে বেশি আর
কঠিন পদার্থে সবচেয়ে বেশি । - -
তাপমাত্রাঃ বায়ুর
তাপমাত্রা যতো বাড়ে বায়ুতে শব্দের বেগও ততো বাড়ে । এজন্য
শীতকাল অপেক্ষা গ্রীষ্মকালে শব্দের বেগ বেশি ।
- বায়ুর আর্দ্রতাঃ বায়ুর আর্দ্রতা
বৃদ্ধিপেলে শব্দের বেগ বৃদ্ধিপায় । এজন্য
শুষ্ক বায়ুর চেয়ে ভিজা বায়ুতে শব্দের বেগ বেশি ।
শব্দোতর শব্দের ব্যবহারঃ
- সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় ।
- কাপড়ের ময়লা পরিস্কার করা ।
- রোগ নির্ণয়ে ।
- চিকিৎসাক্ষেত্রে ।
সুরযুক্ত শব্দের বৈশিষ্ট্যঃ
সুরযুক্ত শব্দের তিনটি
বৈশিষ্ট্য আছে ।
প্রাবল্য বা তীব্রতাঃ প্রাবল্য বা তীব্রতা বলতে শব্দ কতটা জোরে হচ্ছে তা বুঝায় । শব্দ বিস্তারের অভিমুখে লম্বভাবে রাখা একক ক্ষেত্রফলের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ শব্দশক্তি প্রবাহিত হয় তাকে শব্দের তীব্রতা বলে ।
প্রাবল্য বা তীব্রতাঃ প্রাবল্য বা তীব্রতা বলতে শব্দ কতটা জোরে হচ্ছে তা বুঝায় । শব্দ বিস্তারের অভিমুখে লম্বভাবে রাখা একক ক্ষেত্রফলের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ শব্দশক্তি প্রবাহিত হয় তাকে শব্দের তীব্রতা বলে ।
তীক্ষ্ণতাঃ সুরযুক্ত
শব্দের যে বৈশিষ্ট্য দিয়ে একই প্রাবল্যের খাদের সুর এবং চড়া সুরের মধ্যে
পার্থক্য বুঝা যায় তাকে তীক্ষ্ণতা বা পীচ বলে । তীক্ষ্ণতা
উৎসের কম্পাঙ্কের উপর নির্ভর করে । কম্পাঙ্ক
যত বেশি হয়, সুর তত চড়া হয় এবং
তীক্ষ্ণতা বা পীচ ততো বেশি হয় ।
গুণ বা জাতিঃ সুরযুক্ত
শব্দের যে বৈশিষ্ট্যের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে উৎপন্ন একই প্রাবল্য ও
তীক্ষ্ণতাযুক্ত শব্দের মধ্যে পার্থক্য বুঝা যায় তাকে গুণ বা জাতি বলে ।
#
শব্দানুভুতির স্থায়িত্বকাল বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ কোনো
ক্ষণস্থায়ী শব্দ বা ধ্বনি কানে শোনার পর সেই শব্দের রেশ প্রায় সেকেন্ড যাবৎ আমাদের
মস্তিষ্কে থেকে যায় । একে
শব্দানুভুতির স্থায়ীত্বকাল বলে । এই
সময়ের মধ্যে অন্য শব্দ কানে
এসে পৌঁছালে তা আমরা আলাদা করে শুনতে পাই না ।
#
ছোট্ট ঘরে শব্দের প্রতিধ্বনি শোনা যায় না কেন ?
উত্তরঃ
প্রতিধ্বনি
শোনার জন্য প্রতিফলককে শ্রোতা থেকে কমপক্ষে বা 16.6m দূরত্বে রাখতে হবে । সাধারণত ছোট ঘরের
দৈর্ঘ্য এর তুলনায় কম হয় বলে এতে প্রতিধ্বনি শোনা যায় না ।
#
শব্দেতর কম্পাঙ্কের শব্দের ব্যবহার বর্ণনা কর ।
উত্তরঃ শব্দেতর
কম্পনের সীমা হচ্ছে 1Hz থেকে
20Hz । এই
কম্পনের শব্দ মানুষ শুনতে পায়না তবে কোনো কোনো জীব-জন্তু শুনতে পায় । হাতি এই
কম্পনের শব্দ দ্বারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে । কোনোরূপ বিকৃতি ছাড়া এই
শব্দ বহুদূর পর্যন্তযেতে পারে । ভূমিকম্প এবং পারমাণবিক বিস্ফোরণের সময় এই
শব্দেতর কম্পনের সৃষ্টি হয় এবং প্রবল ঝাকুনির মাধ্যমে ধ্বংস যজ্ঞ চালায় ।
#
বাদুরের পথচলার পদ্ধতি বর্ণনা কর ।
উত্তরঃ
শব্দের প্রতিধ্বনির সাহায্যেই বাদুর পথ চলে । বাদুর
চোখে দেখে না । বাদুর শব্দোত্তর
কম্পাঙ্কের শব্দ তৈরি করতে পারে আবার শুনতেও পারে । এই
শব্দ আমরা শুনতে পাই না । বাদুর
শব্দোত্তর কম্পাঙ্কের শব্দ তৈরি করে সামনে ছড়িয়ে দেয় । ঐ
শব্দ কোনো প্রতিবন্ধকে বাধা পেয়ে আবার বাদুরের কাছে চলে আসে ।
ফিরে আসা শব্দ শুনে বুঝতে পারে যে সামনে কোনো বস্তু আছে কিনা । বাদুর
এভাবে তার শিকারও ধরে । যদি
বাধা পেয়ে শব্দ ফিরে আসে তবে সে বঝে সামনে কোন প্রতিবন্ধক আছে । আর
যদি ফিরে না আসে তবে বুঝতে পারে যে ফাঁকা জায়গা আছে, সেই
পথ বরাবর সে উড়ে চলে । বাদুর
প্রায় [1,00000 হার্জ কম্পাংকের শব্দ
তৈরি করতে ও শুনতে পারে।]
# পুরুষের
গলার স্বর মোটা কিন্তু নারী ও শিশুর গলার স্বর তীক্ষ্ণ কেন ?
উত্তরঃ
মানুষের গলার স্বরযন্ত্রে দু'টো
পর্দা আছে এদেরকে বলে স্বরতন্ত্রী বা Vocal Chord । এই
ভোকাল কর্ডের কম্পনে ফলে গলা থেকে শব্দ নির্গত হয় এবং মানুষ কথা বলে । বয়স্কপুরুষদের
ভোকাল কর্ড বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দৃঢ় হয়ে পড়ে । কিন্তু
শিশু বা নারীদের ভোকাল কর্ড দৃঢ় থাকে না, ফলে
বয়ষ্ক পুরুষদের গলার স্বরের কম্পাঙ্ক কম এবং নারী বা শিশুদের স্বরের কম্পাঙ্ক
বেশি হয় । তাই পুরুষদের গলার স্বর
মোটা কিন্তু শিশু বা নারীদের কন্ঠস্বর তীক্ষ ।
গাণিতিক উদাহরণঃ
১। নদীর
এক পাড়ে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি হাততালি দিল । ওই
শব্দ নদীর অপর পাড় থেকে ফিরে এসে 1.5s পর
প্রতিধ্বনি শোনা গেল । ওই
সময় বায়ুতে শব্দের বেগ হলে
নদীটির প্রশস্ততা কত ?
Edited By
Jeion Ahmed
Electrical & Electronic Engineering (EEE)
Chittagong University of Engineering &
Technology (CUET)
0 মন্তব্যসমূহ