আদর্শ গ্যাস

যে সকল গ্যাস গ্যাসের গতিতত্ত্বের মৌলিক স্বীকার্যসমূহ মেনে চলে এবং সকল তাপমাত্রায় ও চাপে বয়েল ও চার্লসের সূত্র যুগ্মভাবে মেনে চলে তাকে আদর্শ গ্যাস বলে।

গ্যাস

সাধারণ তাপমাত্রা ও চাপে যেসব পদার্থ বায়বীয় অবস্থায় থাকে তাদেরকে গ্যাস বলে।

গ্যাসের চলরাশি

চাপ, পরম তাপমাত্রা এবং আয়তনকে গ্যাসের চলরাশি বলে।

ক্রান্তি আয়তন

ক্রান্তি তাপমাত্রা ও ক্রান্তি চাপে গ্যাস যে আয়তন দখল করে তাকে ক্রান্তি আয়তন বলে।

অ্যাভোগ্যাড্রোর সংখ্যা

একই তাপমাত্রা ও চাপে সমান আয়তনের সব গ্যাসে সমসংখ্যক অণু থাকে। অণুর এ সংখ্যাকে অ্যাভোগ্যাড্রোর সংখ্যা বলে।

পরম শূন্য তাপমাত্রা

যে তাপমাত্রায় গ্যাসের আয়তন ও চাপ শূন্য হয়, যার নিচে কোনো তাপমাত্রা থাকা সম্ভব নয় সে সর্বনিম্ন কল্পনাযোগ্য তাপমাত্রাই পরমশূন্য তাপমাত্রা।

মৌলিক স্বীকার্য

গ্যাসের অণুর গতিতত্ত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য কতকগুলো পূর্ব শর্তকে মৌলিক স্বীকার্য বলে।

গ্যাসের গতিতত্ত্ব

গ্যাসের গতিশীলতার জন্য তাপ উৎপন্ন হয়, যাকে গ্যাসের গতিতত্ত্ব বলে।

মূল গড় বর্গ বেগ

কোনো গ্যাসের সকল অণুর বেগের বর্গের গড় মানের বর্গমূলকে মূল গড় বর্ণবেগ বলে।

গড় মুক্ত পথ

কোনো অণুর পর পর দুটি সংঘর্ষের মধ্যবর্তী দূরত্বগুলোর গড় নিলে যে দূরত্ব পাওয়া যায়, তাকেই গড় মুক্ত পথ বলে।

1 atm

1 atm বলতে সমুদ্রপৃষ্ঠে 45° অক্ষাংশে 0°C বা 273K তাপমাত্রায় উল্লম্বভাবে অবস্থিত 76cm = 760mm উচ্চতাবিশিষ্ট শুষ্ক ও বিশুদ্ধ পারদ স্তম্ভ যে চাপ দেয় তার পরিমাণকে বোঝায়।

স্বাভাবিক চাপ

প্রমাণ তাপমাত্রায় পৃথিবীর 45° অক্ষাংশে সমুদ্রপৃষ্ঠে উল্লম্বভাবে অবস্থিত 76cm উচ্চতাবিশিষ্ট শুদ্ধ ও বিশুদ্ধ পারদস্তম্ভ যে চাপ দেয় সেই চাপই স্বাভাবিক চাপ।

ক্রান্তি চাপ

ক্রান্তি তাপমাত্রায় যে চাপ প্রয়োগে গ্যাসকে তরলে পরিণত করা যায় তাকে ক্রান্তি চাপ বলে।

প্রমাণ চাপ

সমুদ্র পৃষ্ঠে 45° অক্ষাংশে 0°C বা 273.16 K তাপমাত্রায় উল্লম্বভাবে অবস্থিত 760 mm উচ্চতাবিশিষ্ট শুষ্ক ও বিশুদ্ধ পারদস্তম্ভ যে চাপ দেয় তাই প্রমাণ চাপ।

প্রমাণ তাপমাত্রা

যে তাপমাত্রায় প্রমাণ চাপে বরফ গলে পানিতে পরিণত হয় বা পানি জমে বরফে পরিণত হয় সেই তাপমাত্রাকে প্রমাণ তাপমাত্রা বলে। সেলসিয়াস স্কেলে এটি 0°C এবং পরম স্কেল বা এস, আই, এককে 273 K

সার্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক

এক মৌল আদর্শ গ্যাসের তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বাড়ালে তা যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন করে তাকে সার্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক বলে।

শক্তির সমবিভাজন নীতি

তাপীয় সাম্যাবস্থায় আছে এমন গতীয় সিস্টেমের মোট শক্তি স্বাধীনতার মাত্রার ভেতর সমভাবে বণ্টিত হয় এবং প্রত্যেক স্বাধীনতার মাত্রাপিছু শক্তির পরিমাণ হয়। 1/2 * KT

স্বাধীনতার মাত্রা

কোনো গতিশীল সংস্থার অবস্থা বা অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশের জন্য যতগুলো স্থানাঙ্কের প্রয়োজন হয় তাকে ঐ গতিশীল সংস্থার স্বাধীনতার মাত্রা বলে।

বাষ্পায়ন

যেকোনো তাপমাত্রায় কেবল তরল পদার্থের উপরিতল থেকে তরল ধীরে ধীরে বাষ্পে পরিণত হওয়ার পদ্ধতি হলো বাষ্পায়ন।

বাষ্প চাপ

যেকোনো তাপমাত্রায় কোনো তরলের বাষ্পায়নের ফলে উৎপন্ন বাষ্প সাধারণত তার সংস্পর্শে থাকা পৃষ্ঠের উপরে যে চাপ প্রয়োগ করে থাকে তাকে বাষ্প চাপ বলে।

সম্পৃক্ত বাষ্পচাপ

কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো আবদ্ধ স্থানের বাষ্প সর্বাধিক যে চাপ দিতে পারে তাকে সম্পৃক্ত বাষ্পচাপ বলে।

শিশিরাঙ্ক

যে তাপমাত্রায় একটি নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ু তাঁর ভেতরের জলীয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয় তাকে ঐ বায়ুর শিশিরাঙ্ক বলে।

কুয়াশা

বিস্তীর্ণ এলাকায় সমবেতভাবে ভাসমান পানি কণাগুলোকে কুয়াশা বলে।

হাইগ্রোমিতি

পদার্থবিজ্ঞানের যে শাখায় কোনো নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ নির্ণয় সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়। তাকে হাইগ্রোমিতি বলে।

শিশির

তাপমাত্রা যখন শিশিরাঙ্কের নিচে নেমে আসে তখন বায়ুকে সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনীয় জলীয় বাষ্পের অতিরিক্ত বাষ্প ঘনীভূত হয়ে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানি বিন্দুতে পরিণত হয়, তাই শিশির।

পরম আর্দ্রতা

কোনো সময় কোনো স্থানের একক আয়তনের বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকে তাকে ঐ বায়ুর পরম আর্দ্রতা বলে।

আপেক্ষিক আর্দ্রতা

কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের ভর এবং সেই একই তাপমাত্রায় সেই আয়তনের বায়ুকে সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনীয় জলীয় বাষ্পের ভরের অনুপাত হলো সেই স্থানের আপেক্ষিক আর্দ্রতা।

আর্দ্রতা

যা দ্বারা কোনো স্থানের বায়ুতে কতটুকু জলীয় বাষ্প আছে অর্থাৎ বায়ু কতখানি শুষ্ক বা ভেজা নির্দেশ করা হয়, তাই অর্দ্রতা।