পড়ন্ত বস্তুর সূত্র


১৫৮৯ সালে ইতালীয় বিজ্ঞানী গ্যালিলিও ফ্রান্সের পিশাচ শহরের একটি হেলানো মন্দিরে করা পরীক্ষণের ভিত্তিতে পড়ন্ত বস্তুর তিনটি সূত্র দেন, যা ১৬৫০ সালে বিজ্ঞানী নিউটন গিনি ও পালক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেন । গ্যালিলিও এই হেলানো মন্দিরটির এমন একটা পাশ বেছে নিয়েছিলন, যে পাশে সেই মূহুর্তে কোন বায়ু প্রবাহ ছিলনা । যাতে তার পরীক্ষণে বায়ুপ্রবাহ কোন বাধার সৃষ্টি করতে না পারে । অর্থাৎ বায়ুর বাধাকে উপেক্ষা করা যেতে পারে । 

প্রথম সুত্র

স্থির অবস্থান ও একই উচ্চতা থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত সকল বস্তু সমান সময়ে সমান পথ অতিক্রম করে । 
অর্থাৎ আপনি বায়ু শুন্য কোন একটি স্থানে একটি পাখির পালক এবং একটি লোহার বল স্থির অবস্থা হতে একইসাথে নিচের দিকে ফেলে দেন, দেখবেন পালক হাল্কা এবং লোহা ভারি হওয়া সত্ত্বেও এরা উভয়ই একইসাথে ভূমিতে এসে পড়বে । বাস্তবে এমন অভিজ্ঞতা আমাদের হয়না, কারণ বায়ুর বাধার কারনে পালক দেড়িতে এসে পড়ে ।  

দ্বিতীয় সুত্র

স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত কোন বস্তুর নির্দিষ্ট সময়ে (t) প্রাপ্ত বেগ (v) ঐ সময়ের সমানুপাতিক  অর্থাৎ v  t হবে । যা আমরা গতিবিদ্যার সাধারণ সূত্রগুলো থেকে প্রমাণ করতে পারি ।
 

তৃতীয় সূত্র

স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত কোন বস্তুর নির্দিষ্ট সময়ে (t) যে দূরত্ব (s) অতিক্রম করে তা ঐ সময়ের বর্গের সমানুপাতিক । অর্থাৎ s  t2 হবে । যা আমরা গতিবিদ্যার সাধারণ সূত্রগুলো থেকে প্রমাণ করতে পারি । 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ