তরল পদার্থ যখন কোণ কঠিন পদার্থের সংস্পর্শে আসে তখন তাদের মধ্যে একটি কোণ উৎপন্ন হয় । একে স্পর্শ কোণ বলে । যেমন কাঁচের সংস্পর্শে পানি রাখলে সংসক্তি বল তরলকে এর তলে রাখতে চেষ্টা করে এবং আসঞ্জন বলের প্রভাবে পানি কাঁচ বেঁয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করে । এদের সম্মিলিত ক্রিয়ার ফলে তরল পদার্থ কঠিন পদার্থের গা বেঁয়ে কিছুটা উপরে ওঠে (পানির জন্য) কিংবা নিচে নামে (পারদের ক্ষেত্রে) । ফলে কঠিন এবং তরলের মধ্যে একটি কোণ উৎপন্ন হয় যাকে স্পর্শ কোণ বলে ।
কঠিন
ও তরলের স্পর্শ বিন্দু হতে বক্র তরল তলে অঙ্কিত স্পর্শক কঠিন বস্তুর সাথে তরলের
মধ্যে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে কঠিন এবং তরলের মধ্যকার স্পর্শ কোণ বলে । এ স্পর্শ
কোণ দুই ধরণের হতে পারে । যথাঃ
সূক্ষ্ম স্পর্শ কোণ
যখন তরলের ঘনত্ব কঠিন পদার্থের ঘনত্ব অপেক্ষা কম হয় তখন তরল সাধারাণত কঠিন
পদার্থকে ভিজায় । ফলে যে স্পর্শ কোণ উৎপন্ন হয় তা সূক্ষ্মকোণ । যেমন- পানি এবং
কাঁচের মধ্যবর্তী স্পর্শ কোণ ।
স্থূল স্পর্শ কোণ
যখন তরলের ঘনত্ব কঠিন পদার্থের ঘনত্বের তুলনায় বেশি হয় তখন তরল সাধারাণত কঠিন পদার্থকে
ভিজাতে চায় না । ফলে যে স্পর্শ কোণ উৎপন্ন হয় তা স্থূলকোণ । যেমন- পারদ এবং
কাঁচের মধ্যবর্তী স্পর্শ কোণ ।
কঠিন ও তরলের প্রকৃতি, কঠিন ও তরলের বিশুদ্ধতা, তরলের উপরিস্থিত মাধ্যম প্রভৃতি মানদণ্ড পরিবর্তনের সাথে সাথে স্পর্শ কোণ পরিবর্তন হয় ।
কৈশিক নল
সংসক্তি ও আসঞ্জন বলের প্রভাবে কঠিন পদার্থের তল বেঁয়ে
তরল পদার্থের উপরে ওঠা কিংবা নিচে নামার এই ধর্মকে কাজে লাগিয়ে কৈশিক নল ব্যবহার
করা হয় । কৈশিক নল হল সরু এবং
সূক্ষ্ম ছিদ্র বিশিষ্ট নল ।
যেহেতু
কৈশিক নলের ছিদ্রের প্রস্থছেদ অনেক কম হয় তাই কৈশিক নল পানিতে ডুবালে নল বেঁয়ে
পানি কিছুটা উপরে উঠে আসে । যাকে বলা হয়, পানির উদ্ধারোহণ । পারদে দুবালে নল বেঁয়ে
পারদ নিচে নেমে যায় । যাকে বলা হয় পানির অবনমন ।
2 মন্তব্যসমূহ
তরলে মুক্ত তল অনুভূমিক থাকলে স্পর্শ কোন কত ডিগ্রী হয় ভাইয়া ??
উত্তরমুছুন৯০°
মুছুন