সমান বা প্রায় সমান বিস্তার এবং সামান্য কম্পাংকের পার্থক্য যুক্ত দুইটি শব্দ তরঙ্গ
একই সময়ে একই রেখায় সঞ্চালিত হলে, তাদের মধ্যে উপরিপাতনের ফলে শব্দের তীব্রতার পর্যায়ক্রমিক
হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে । শব্দের তীব্রতার এই পর্যায়ক্রমিক হ্রাস বৃদ্ধিকে বলা হয় বীট বা
স্বরকম্প ।
শব্দের তীব্রতার এই পর্যায়ক্রমিক হ্রাস বৃদ্ধিতে যতবার শব্দের তীব্রতার বৃদ্ধি
ঘটে, ততবার আমরা শব্দ কিছুটা জোড়ে শুনতে পাই । যাকে সাধারণত আমরা বীট বলে চিনি । এটা
নির্ভর করছে যে দুইটি সুর শলাকা দিয়ে শব্দ তৈরি করা হচ্ছে, তাদের কম্পাংকের পার্থক্যের
উপর । উৎসদ্বয়ের কম্পাংকের পার্থক্য যত হবে, প্রতি সেকেন্ডে ঠিক ততটিই বীট শোনা
যাবে । অর্থাৎ
N = n1 - n2
যেখানে
N = বীট সংখ্যা
n1 = প্রথম সুর শলাকার কম্পাংক
n2 = দ্বিতীয় সুর শলাকার কম্পাংক
তবে বীট তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে বীট উৎপন্নকারী তরঙ্গদ্বয়ের
উপর কিছু শর্ত আরোপ করা যায় ।
- বীট উৎপন্নকারী শব্দ তরঙ্গ দুইটি একই সময়ে উৎপন্ন হতে হবে ।
- তরঙ্গ দুটির তীব্রতা ও কম্পাংক প্রায় সমান হতে হবে ।
- তরঙ্গ দুটির দরুন মাধ্যমের কোনো একটি কণার সরণ একই রেখায় হতে হবে ।
- তরঙ্গ দুটির মিলিত ক্রিয়া বিস্তার সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হবে ।
- মাধ্যমের কোনো একটি কণার ওপর তরঙ্গ দুটি মিলিত হওয়ার পর তাদের মধ্যে দশা পার্থক্য সময়ের সাথে পরিবর্তিত হবে ।
পদার্থবিজ্ঞানে এই বীটের বহুবিধ
ব্যবহার রয়েছে । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- এর মাধ্যমে আমরা যেকোন সুর শলাকার
অজানা কম্পাংক নির্ণয় করতে পারি ।
0 মন্তব্যসমূহ