স্যার আইজ্যাক নিউটন ১৬৮৭ সালে তার বিখ্যাত
মহাকর্ষ সূত্র দেন । যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, মহাবিশ্বের প্রত্যেকটি বস্তু একে
অপরকে নিজের দিকে আকর্ষন করেন । তিনি তার সূত্রে এই আকর্ষন বলের মান নির্ণয়ের
সূত্র দেন এবং এই বলের দিকও নির্ধারণ করে দেন ।
নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রটি হল-
মহাবিশ্বের প্রত্যেকটি বস্তুকণা একে অপরকে
নিজের দিকে আকর্ষণ করে । এই আকর্ষণ বলের মান বস্তু কণাদ্বয়ের ভরের গুণ ফলের
সমানুপাতিক এবং এদের মধ্যবর্তী
দূরত্বের বর্গের ব্যাস্তানুপাতিক । এই বল বস্তুদ্বয়ের ভরকেন্দ্রের সংযোজক সরলরেখা বরাবর
ক্রিয়া করে ।
বস্তুত এই বলের কারণেই মহাবিশ্বের অস্তিত্ব
টিকে আছে । পৃথিবী এবং আমাদের মধ্যে মহাকর্ষ বল আছে বলেই আমরা পৃথিবীর দিকে টান
অনুভব করে পৃথিবীর সাথে লেগে থাকি । এমনকি চাঁদ এবং পৃথিবীর মধ্যে আকর্ষন বল আছে
বলেই, চাঁদ পৃথিবীর গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে পৃথিবী চারদিকে আবর্তন করছে । আবার
একই কারণে আমাদের পৃথিবী সূর্য্যের চারদিকে ঘুরছে । নিজের বিশাল মানের মহাকর্ষ বলের
মাধ্যমে অন্য গ্যালাক্সি থেকে ছুটে আসা গ্রহাণু বা বস্তুকে নিজের মধ্যে টেনে নিয়ে
আমাদের পৃথিবীকে সুরক্ষিত রাখছে বৃহস্পতি গ্রহ ।
অভিকর্ষ কি ?
যে দুইটি বস্তুর কথা বলছি তাদের মধ্যে একটি
যদি আমাদের পৃথিবী হয়, তবে সেই মহাকর্ষ বলকে আমরা বলি অভিকর্ষ বল । পৃথিবীর আর এক
নাম- ‘অভি’ শব্দ থেকেই অভিকর্ষ শব্দটি এসেছে । অভিকর্ষ মহাকর্ষ বল ছাড়া কিছুই না ।
শুধু পৃথিবী অন্তর্ভুক্ত থাকলে আমরা সেই মহাকর্ষ বলকে অভিকর্ষ বলছি । অর্থাৎ
পৃথিবীর মহাকর্ষ = অভির মহাকর্ষ = অভিকর্ষ ।
নিউটনের মহাকর্ষ বলের সূত্র নিয়ে তার মাথায়
আপেল পড়ার একটি গল্প প্রচলিত আছে । গল্পটি যেকোন বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রী জানলেও এই
গল্পের বাস্তবতা নেই ।
0 মন্তব্যসমূহ