আইসোটোপ কাকে বলে ?
প্রকৃতিতে একই মৌল ভিন্ন ভর সংখ্যার পাওয়া
যায়, এদেরকে আইসোটোপ বলে । যেহেতু মৌল একই, তাই এদের পারমানবিক সংখ্যা বা প্রোটন
সংখ্যা সমান হয়ে থাকে । যেমন হাইড্রোজেন
মৌলটিকে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ভর সংখ্যার পাওয়া যায় । এরা হল-
- প্রোটিয়াম (পারমানবিক ভর = 1)
- ডিউটেরিয়াম (পারমানবিক ভর = 2)
- টিট্রিয়াম (পারমানবিক ভর = 3)
এখানে এদের পারমানবিক সংখ্যা বা প্রোটন
সংখ্যা সমান ।
আইসোটোপের শেষ অক্ষর “প” দিয়ে মনে রাখা যায়-
প্রোটন সংখ্যা সমান ।
আইসোটোন কাকে বলে ?
যেসব মৌলের নিউট্রন সংখ্যা সমান কিন্তু
পারমানবিক সংখ্যা এবং ভর সংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে আইসোটোন বলে । যেমন-
- সিলিকনের (Si) পারমানবিক সংখ্যা – 14 । ভর সংখ্যা 30 । তাহলে নিউট্রন সংখ্যা = 30-14 = 16 ।
- ফসফরাসের (P) পারমানবিক সংখ্যা – 15 । ভর সংখ্যা 31 । তাহলে নিউট্রন সংখ্যা = 31-15 = 16 ।
এখানে এদের নিউট্রন সংখ্যা সমান ।
আইসোটোনের শেষ অক্ষর “ন” দিয়ে মনে রাখা যায়-
নিউট্রন সংখ্যা সমান ।
আইসোবার কাকে বলে ?
যেসব মৌলের ভর সংখ্যা সমান কিন্তু পারমানবিক
সংখ্যা এবং নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে আইসোবার বলে । যেমন-
- কপারের পারমানবিক সংখ্যা – 29 । নিউট্রন সংখ্যা 36 । তাহলে ভর সংখ্যা
= 29+36 = 65 ।
- জিংকের পারমানবিক সংখ্যা – 30 । নিউট্রন সংখ্যা 35 । তাহলে ভর সংখ্যা
= 30+35 = 65 ।
এখানে এদের ভর সংখ্যা সমান ।
আইসোবার শেষ শব্দ “বার” যার অর্থ-“ভর” দিয়ে
মনে রাখা যায়- ভর সংখ্যা সমান ।
0 মন্তব্যসমূহ